নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের আগে রাজশাহীর বাজারগুলোতে এখন মানুষের ঢল নেমেছে। কেউ নতুন পোশাক, কেউ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে ছুটছেন বাজারের দিকে। এবার ১০ রমজানের পর থেকেই মূলত রাজশাহীতে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। তবে শনিবারের মত বাজারে ভিড় এবার আর দেখা যায়নি। চাঁদ রাত পর্যন্ত এমন ভিড় থাকবে বলছেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল শনিবার সকাল থেকেই শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপনিবিতানগুলোতেও নতুন পোশাক কেনার জন্য মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। গত কিছু দিন ধরে তীব্র গরমের কারণে রাজশাহীর বাজার রাতে জমজমাট হলেও এখন দিনরাত সরব। সাহেববাজারের মুদি দোকানগুলোতেও মানুষের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সেমাই, চিনি, মসল, পোলাও চাল, ডাল কিংবা তেল কিনতে ভিড় করছিলেন সবাই।
রাজশাহী শহরের দোকানগুলোতে এখন বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। তাই বাধ্য হয়ে খোলা তেলই বোতলে ভরে নিয়ে যাচ্ছেন সবাই। ঈদের আগে সবার এমন কেনাকাটায় সাহেববাজারে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। রাস্তার ওপর দিয়েই ঠাসাঠাসি করে চলাচল করছেন মানুষ। স্বাদ ও সাধ্যের সমন্বয় করে কেনাকাটা করে শেষ পর্যন্ত হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন সবাই।
এবার ঈদের কোনাকাটায় নগরীর আরডিএ মার্কেটে ভিড় দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। শেষ মূহুর্তে ভিড় বেড়েছে নিউমার্কেট, থিম ওমর প্লাজাসহ নামিদামি ব্র্যান্ডের আউটলেটেও। ফুটপাতেও শাড়ি, লুঙ্গি, প্যান্ট, শার্টের দোকানে সমানতালে চলছে বিকিকিনি। ক্রেতা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ফুটপাতের আতর, সুরমা, টুপি এবং বেল্টের দোকানীরাও।
রবিবার সকালে নগরীর সাহেববাজারের এক ফুটপাতের দোকানে লুুঙ্গি দেখছিলেন মো. রনি। তিনি বলেন, বিসিকের একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন তিনি। বেতন-বোনাস না হওয়ায় কেনাকাটা করতে পারেননি। শনিবার বেতন-বোনাস পেয়েই রবিবার বাজারে এসেছেন। নিউমার্কেটের লাবণী শাড়ি ঘরে শাড়ি দেখতে দেখতে ফারুক হোসেন নামের এ ব্যক্তি জানালেন, তিনি ঢাকায় থাকেন। ঢাকা থেকে পরিবারের সবার জন্য নতুন পোশাক কিনে আনতে পারেননি। তাই বাড়ি এসেই বাজারে এসেছেন কেনাকাটা করতে।
রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদ বা অন্যান্য উৎসবে ব্যবসায়ীরা আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেননি। তবে এবার আশানুরূপ বেচাকেনা হয়েছে। এখনও প্রচুর মানুষ বাজারে আসছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই ব্যস্ত। একেবারে চাঁদরাত পর্যন্ত এ রকম বিকিকিনি চলবে।নিজস্ব প্রতিবেদকনিজস্ব প্রতিবেদক
মতিহার বার্তা / এম আর টি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.